Header Ads

সন্তান জন্মদানে কেমন বীর্য লাগে?

 


এএনএম নিউজ ডেস্ক: বীর্যের যাবতীয় তথ্য - আপনার

বীর্যের গুনাগুন কি সঠিক আছে?

গড়পড়তা প্রতি বীর্যস্থলনে উত্‍পাদিত

বীর্যের পরিমান ২ থেকে ৫

মিঃলিঃ। বীর্যের পরিমান এবং

পুর্বের বীর্যপাতের সময় ব্যবধানের

হিসাব অনুযায়ী বীর্যের ঘনত্বের

তারতম্য এবং ১ বার বীর্যপাতে

২,৭০,১৬,৪০৯ টি শুক্রকীট বের হয় আসে

। প্রতিবার বীর্যের সাথে

(একেকবারের স্থলনে) শুক্রানুর

সংখ্যা ৪ (চার) কোটি থেকে ৬০

(ষাট) কোটি পর্যন্ত হতে পারে।

বীর্যে শতকরা ২০ ভাগ শুক্রানু জীবিত

না হলে সে পুরুষ বন্ধা ।পুরুষাঙ্গ

থেকে বীর্য নির্গত হবার গড়পড়তা

বেগ ঘন্টায় ২৮ কিলোমিটার। কিন্তু

এটা নারী যোনীতে প্রবেশের পর

গতি হ্রাস পায়।

মাত্র ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের যোনী নালী

অতিক্রম করতে শুক্রানুগুলোর ৫ মিনিট

সময় লাগে। এবং নারীর ডিম্ব খুজে

পেতে ৭২ ঘন্টারমত সময় ব্যায় হয়।

শুরুতেই বলে রাখি - বীর্য শুধুমাত্র

পুরুষের প্রজননতন্ত্র থেকে নির্গত হয়।

নারীর বীর্য বলে কোন কিছু নেই।

নারীর কখনো বীর্য নির্গত হয়না। তবে

যেহেতু নারীর যৌনাঙ্গ এবং মুত্রথলি

খুব কাছাকছি অবস্থিত এবং মিলনকালে

মুত্রথলিতে যথেষ্ট চাপ পড়ে তাই মিলনে

পুর্নতৃপ্তিতে শেষের দিকে সামান্য

পরিমান প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে

যাকে পুরুষ/নারী অজ্ঞতাবশত বীর্য

বলে ধরে নেন।

বীর্য কি?

বীর্য হল অসচ্ছ, সাদা রঙের শাররীক

তরল যা বীর্যস্থলনের সময় পুংলিঙ্গের

ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মুত্রনালীর

মাধ্যমে শরীর থেকে বাহিরে নির্গত

হয়। বীর্যের বেশি অংশ যৌন অনুভুতির

সময় পুরুষ প্রজননতন্ত্রের ক্ষরন/নিঃসরন

হতে সৃষ্ট।

৬৫% বীর্য-তরল ধাতুগত

গুটিকা (seminal vesicles)

দ্বারা উত্‍পাদিত।

৩০% থেকে ৩৫% মূত্রস্থলীর

গ্রীবা সংলগ্ন

গ্রন্থিবিশেষ থেকে

সরবরাহকৃত।

৫% শুক্রাশয় এবং

অন্ডকোষের epididymes

নামক অংশ হতে।

বীর্যে প্রাপ্ত রাসায়নিক পদার্থগুলো

হলো যথাক্রমে - সাইট্রিক এসিড, ফ্রি

এ্যামিনো এসিড, ফ্রাকটোস, এনজাইম,

পসপোহ্‌রিলকোলিন, প্রোষ্টাগ্লেন্ডিন,

পটাশিয়াম এবং জিংক। গড়পড়তা প্রতি

বীর্যস্থলনে উত্‍পাদিত বীর্যের পরিমান

২ থেকে ৫ মিঃলিঃ। বীর্যের পরিমান

এবং পুর্বের বীর্যপাতের সময় ব্যবধানের

হিসাব অনুযায়ী বীর্যের ঘনত্বের

তারতম্য এবং প্রতিবার বীর্যের সাথে

(একেকবারের স্থলনে) শুক্রানুর সংখ্যা

৪ (চার) কোটি থেকে ৬০ (ষাট) কোটি

পর্যন্ত হতে পারে। বীর্যে শতকরা ২০

ভাগ শুক্রানু জীবিত না হলে সে পরুষ

বন্ধা - অর্থাত্‍ সন্তান জন্মদানে অক্ষম।

ডাক্তারী পর্যবেক্ষনের জন্য সাধারনত

হস্তমৈথুনের সাহায্যে বীর্যের নমুনা

সংগ্রহ করা হয়। তবে বীর্যদাতা যদি

শাররীক মিলন ব্যতিত বীর্যস্থলনে

অসমর্থ্য হন, সেক্ষেত্রে রাসায়নিক

বিক্রিয়া হয়না এবং শুক্রনিধক পদার্থ

নেই এমন কনডম ব্যবহার করে বীর্যের

নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

############################

স্বাভাবিক/সাধারন বীর্য দেখতে

কেমন?

বাহ্যিক রূপ:

বীর্য সাধারনত দেখতে মেঘলা সাদা

অথবা কিছুটা ধুসর তরল। বীর্যস্থলেনের

সাথে সাথে এটি দেখতি গাঢ় এবং

জেলীর মত ইষত্‍ শক্ত। তবে পরবর্তি ৩০

মিনিটের মধ্যে বীর্য তরল এবং পানির

মত পাতলা হয়ে যায়। বীর্যের পুরু এবং

তরলীকরণ প্রজনন তথা সন্তান জন্ম

দেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় ।

গন্ধ:

বীর্যে ক্লোরিন এর মত একপ্রকার

স্বাভাবিক গন্ধ থাকে।

স্বাদ:

অধিক মাত্রায় ফলশর্করা (fructose)

থাকার কারনে এটি কিছুটা মিষ্টি

স্বাদযুক্ত। তবে ব্যাক্তিবেধে বীর্যের

স্বাদের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এমনকি

খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্য থেকে বীর্যের

স্বাদের পরিবর্তন হতে পারে।

############################

কি রকম বীর্যকে 'অস্বাভাবিক বীর্য'

বলা হবে ?

অল্প পরিমানে বীর্য বের হওয়া:

বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান কম হবার

কারন হতে পারে ধাতুগত গুটিকা (seminal

vesicles) অথবা বীর্য নিঃসরন নালীর

(ejaculatory duct) প্রতিবন্ধকতা।

অল্প পরিমান বীর্যরস নির্গত হওয়া

হয়তো বিপরিতগামী বীর্যস্থলনের

কারনেও হতে পারে, যদি বীর্য

নিঃসরনের সময় বীর্যের প্রবাহ

মুত্রনালী দিয়ে বাহিরের দিকে না হয়ে

উল্টোপথে মুত্রথলির দিকে প্রবাহিত হয়

- সে অবস্থায় এমনটি হতে পারে।

বীর্যের এই বিপরিতমুখীতা মূত্রস্থলীর

গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির সংক্রমন, পুর্বের

কোন মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির

(prostate) অস্ত্রপ্রচার, ডায়াবেটিস

এবং অনেক ঔষধের

পাশ্বাপ্রতিক্রিয়ায়ও হতে পারে।

অতিরিক্ত গাঢ় এবং পিন্ডাকার

বীর্য:

শরীরে পানিশুন্যতার কারনে বীর্য

হয়তো অস্বাভাবিক গাঢ় হতে পারে ,

তবে এটি একটি অস্থায়ী অবস্থা।

গাঢ় / পিন্ডাকার বীর্যের একটু ভয়ানক

কারন হল শুক্রাশয় এর নিন্মমুখী স্তর।

যদি আপনার বীর্য একনাগাড়ে দুই থেকে

তিন সপ্তাহ এ রকম আস্বাভাবিক দেখা

যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন

হতে হবে।

লাল অথবা বাদামী রঙের বীর্য:

যদি আপনার বীর্য লাল অথবা বাদামী

রঙের দেখা যায় তাহলে মূত্রস্থলীর

গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থি (prostate) তে

হয়তো বিস্ফোরিত রক্তপ্রবাহ হচ্ছে।

এটি সাধারন বীর্যস্থলনের সময়ও দেখা

যেতে পারে। এবং সাধারনত এক কিংবা

দুই দিনে বীর্য তার স্বাভাবিক রঙে

ফিরে আসতে পারে। যদি বীর্যের এই রঙ

পরিবর্তন একটানা কয়েকদিন থেকে

দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের

কাছে পরামর্শের জন্য যেতে হবে।

অবিরাম বীর্যের মধ্যে রক্তের

উপস্থিতি হয়তো কোন প্রকার সংক্রমন,

রক্তক্ষরন (হয়তো মানসিক আঘাত জনিত

কারনে), এবং বিরল ক্ষেত্রে ক্যন্সারের

কারনে দেখা যেতে পারে।

হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য:

সাধারন বীর্যে ধুসর সাদা কিংবা ইষত্‍

হলুদ বনর্চ্ছটা থাকতে পারে।

হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য হয়তো

রোগ সংক্রমনতা নির্দেশ করে , হতে

পারে এটি যৌনবাহিত রোগ ' গনেরিয়া '

র' লক্ষন।

আপনার পাশ্ববর্তী কোন চিকিত্‍সালয়ে

যান যেখানে যৌন বাহিত রোগের

চিকিত্‍সা সেবা দেয়া হয়।

যদি বীর্যের এই বিবর্নতা গনেরিয়ার

কারনে হয়ে থাকে তাহলে উপযুক্ত

এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধে চিকিত্‍সা

সম্ভব।

বিরক্তিকর গন্ধযুক্ত বীর্য:

বীর্যের বিরক্তিকর গন্ধের প্রায়শঃ

প্রধান কারন হলো রোগ সংক্রমনের

লক্ষন। বীর্যে দুর্গন্ধ পরিলক্ষিত হলে

তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে

হবে।

বিশেষ অনুরোধ: আমরা ইদানিং লক্ষ্য

করছি যে কিছু পেইজের এ্যাডমিনগন

আমাদের পোষ্ট গুলোকে কপি করে

নিজের লিখা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।

একটি পোষ্ট এর জন্য সময় দেবার

স্বীকৃতি হিসেবেও কি আপনি আমাদের

পেইজের নাম পোষ্টে উল্লে্যখ করতে

পারবেন না? অন্য পাঠক লিখার উত্‍স

জানলে আপনার ক্ষতি নেই। কিন্তু যদি

তারা জানে এটা অন্যের লিখার কপি -

তাহলে আপনাকে চোর ভাবতে পারে।

দয়াকরে কপি-পেষ্ট দুনিয়া থেকে

বেরিয়ে আসুন। নিজের প্রতিভা কাজে

লাগান।

আপনাদের কাছে শালীন মন্তব্য আশা

করবো। এমন কোন মন্তব্য করবেন না

যাতে আপনার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন

জাগতে পারে অন্য পাঠকের।

স্পার্ম মরপোলোজি - শুক্রানুর আকার

এবং গঠন - পুরুষ বন্ধত্বের জন্য সিমেন

এ্যানালাইসিস এর একটি অংশ হল

স্পার্ম মরপোলোজি। স্পার্ম

মরপোলোজি পরীক্ষা দিয়ে

মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বীর্যে

শুক্রানুর হার দেখা হয়।

স্বাভাবিক শুক্রানুর মাথা ডিম্বাকার

এবং লম্বা লেজ থাকে (দেখেতে

অনেকটা বাঙাচির মত)। অস্বাভাবিক

শুক্রানুর মাথা অথবা লেজ বিকৃত , যেমন

খুব বড় আকৃতির মাথা , ভাংগা অথবা

একই শুক্রানুর দুইটি লেজ থাকে। এ সকল

অস্বাভাবিকতা হয়ত শুক্রানুর ডিম্বের

কাছে যাওয়া ব্যহত করে।

যাইহোক, বীর্যে সংখ্যার হার হিসেবে

বিশাল অংকের অস্বাভাবিক শুক্রানু

থাকা একটি সাধারন বিষয়, এবং এটি

নারীর গর্ভধারনের ক্ষেত্রে কোন বড়

বিবেচ্ছ্য নয়। বস্তুতঃপক্ষে একজন

পুরুষের শুক্রাণু নমুনা স্বাভাবিক

বিবেচিত হয়না, যদি না অধিকাংশ

শুক্রাণু আকৃতির অস্বাভাবিক

পরিসীমায় না হয়।

অস্বাভাবিক শুক্রানুর নিষেকে যদি

নারী গর্ভধারন করেন তাহলে গর্ভের

সন্তান অস্বাভাবিক হবার কোন

সম্ভাবনা নেই।

শুক্রানুর আকার ছাড়াও স্পার্ম

মরপোলোজি দ্বারা শুক্রানুর সংখ্যা

এবং এর চলার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

চলার অক্ষমতা এবং স্বল্প সংখ্যক

শুক্রানু উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই

অস্বাভাবিক স্পার্ম মরপোলজিতে

দেখা যায় এবং এটা পুরুষ বান্ধত্বের

কারনও হতে পারে।

যদি বীর্য পরীক্ষায় অস্বাভাবিক

স্পার্ম মরপোলজি অথবা অন্য কোন

অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে প্রথমতঃ

'ওয়েট এন্ড সি' মানে রোগীকে

অপেক্ষা করা এবং পুনঃপরীক্ষার জন্য

বলা হয়। পরবর্তী পরীক্ষা সাধারনত চার

থেকে ছয় সপ্তাহ পর করা হয় এবং দেখা

হয় প্রাকৃতিক ভাবে শুক্রানুতে কোন

পরিবর্তন এসেছে কিনা? যদি দ্বিতীয়

পরীক্ষায়ও আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া

না যায় তখন এর কারন উদঘাটনের জন্য

অন্যান্য আনুষাঙ্গিক পরীক্ষা করা হয়ে

থাকে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুক্রনুর সমস্যাগুলো

জন্মগত এবং তা চিকিত্‍সা করা অসম্ভব।

অন্য ক্ষেত্রে যে সকল কারনে শুক্রানুর

সমস্যা তা চিকিত্‍সার মাধ্যমে শুক্রানুর

কোয়ালিটি ইমপ্রুভ হতে পারে। কিছু

সাধারন ক্ষেত্রে শুক্রানু অস্থায়ী

ভাবে কিংবা স্থায়ীভাবে চিকিত্‍সা

করা যায়। যেমন:

অন্ডকোষের ভিতর শিরা-উপশিরার

আকার বৃদ্ধির সাহায্যে (varicocele)

উচ্চমাত্রায় উষ্ণতা/তাপ এর সাহায্যে।

কিছু নির্দ্ধিষ্ট নিষিদ্ধ ঔষধ ব্যবহার

করে।

সংক্রামন

অস্বাভাবিক স্পার্ম মরপোলজি ,

শুক্রানুর চলমানতা সমস্য অথবা কম

সংখ্যায় শুক্রানুর উপস্থিতিতেও হয়তো

গর্ভধারন সম্ভব ! যাইহোক গর্ভধারন সব

সময় সঠিক সময়ে আসেনা। কিছু যুগলের

ক্ষেত্রে এর জন্য বছর লেগে যায়। যদি

অনেক চেষ্টায়ও আপনি গর্ভধারনে সফল

হচ্ছেন না, বর্তমান যুগে প্রজুক্তির

বিশাল বিকাশে এ বিষয়ে বেশি চিন্তা

না করলেও চলে।

বীর্যের মাথায় ক্রোমোজম থাকে এটি

পুরুষের উর্বরতার উদ্ভব ঘটায়। এক ফোঁটা

বীর্যের মাথা হল একটি ক্ষুদ্র পিনের

মাথার আকারের সমান। অণুবীক্ষণ

যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখা যায়।

একজন মানুষের দিনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন

বা৫০,০০০০০০০ কোটি (পঞ্চাশ কোটি)

বীর্য কণা তৈরি হয়।বীর্য একা একা

নিজে থেকেইলিঙ্গ থেকে পতন হতে

পারে না। যৌনমিলনকালে বা

অন্যকোনো উপায়ে যেমন হস্তমৈথুনের

সময় বীর্যস্খলন ঘটে। প্রতিবার যে

পরিমাণ বীর্যস্খলন হয় তাতে ৪০-৫০

কোটির মত শুক্রকীট থাকে। কিন্তু মজার

কথা হলনারীকে গর্ভবতী হওয়ার জন্য

কেবলমাত্র একটি শুক্রকীটই যথেষ্ট।

পুরুষের লিঙ্গের মাধ্যমে নারীর যোনি

বা জরায়ু মুখেবীর্যরস নিক্ষিপ্ত হবার

পর শুক্রকীটগুলো এক প্রকার লেজের

দ্বারা সাঁতার কেটে জরায়ুর ভেতরে

প্রবেশ করে এগিয়ে যায়। পুরুষের মধ্যে

যখন যৌবনের আগমন ঘটে তখন তার

টেস্টিসে বা অন্ডকোষে শুক্রকীট

অনবরত তৈরি হতে আরম্ভ করে দেয়। আর

এ সময় থেকেই পুরুষরা সন্তান জন্মদানে

সক্ষম হয়ে ওঠে।

গবেষকরা ল্যাবরেটরিতে টেস্টটিউবে

কাচের মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন

যে, শুক্র ব্যতীত অন্যান্য যেসব উপাদান

বীর্যে পাওয়া যায় তার ৯০ শতাংশই

তরল পানি জাতীয় উপাদান। এছাড়াও

বীর্যে থাকে সুগার বা গ্লুকোজ যা কি

না শুক্রাণুর কার্যকারিতা ও বলিষ্ঠতার

জ্বালানি স্বরূপ। বীর্যে আরো থাকে

ক্ষারীয় উপাদান। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের

কিছু পরিমাণএনজাইম ও কিছুমাত্রায়

ভিটামিন সি, কিঙ্ক এবং থাকে

কোলেস্টেরল। দেহের বীর্য সংশ্লেষণ

প্রক্রিয়াটি অন্যান্য দশ বারোটা

শারীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতোই

সাধারণ। এটি তৈরিতে বিশেষ রকমের

খাদ্য উপাদানের সরবরাহের প্রয়োজন

হয় না। আসল কথা হল বীর্যের সাথে

খাবারের কোনো প্রত্যক্ষ বা ডাইরেক্ট

সম্পর্ক নেই । যদি এ জাতীয় কোনো

ধরনের সম্পর্ক থাকতো, তবে মাননীয়

ডাক্তার মহাশয়বৃন্দরা প্রজনন বা সন্তান

উত্‍পাদনে অক্ষম পুরুষদেরকে বেশি

বেশি খাদ্য খেতে উপদেশ দিতেন।

আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত দিন রাত

চব্বিশ ঘন্টা বীর্য তৈরি হচ্ছে আর তা

সাময়িক ভাবে সেমিনাল ভেসিক্যালে

জমা থাকছে। ধারণক্ষমতা পূর্ণহবার

পরে এর বাড়তি অংশ যৌন সঙ্গম বা

মাস্টারবেশন প্রক্রিয়া ও স্বপ্নদোষের

মাধ্যমে তা বেরিয়ে যায়। একটা কথা

সবারই মনে রাখা দরকার যে,দেহের

মাঝে বিরতিহীনভাবে বীর্য সংশ্লেষণ

ঘটছে স্খলনের উদ্দেশ্যে, জমা বা

সঞ্চিত থাকার জন্য নয়।বীর্য নির্গমন

যে প্রক্রিয়াই ঘটুক না কেন, তা মানব

দেহের উত্‍পাদন কর্মকান্ডকে সচল, সবল

আর গতিশীল রাখে।কাজেই স্বাভাবিক

সেক্স সঙ্গম বা নিদ্রার মধ্যবর্তী

স্বপ্নদোষ বা যে কোনোভাবেই হোক না

কেন, বীর্যস্খলন বা বীর্যপাত

ক্ষতিকারক নয় বরঞ্চ স্বাস্থ্যসম্মত।

এতক্ষণ আমরা পুরুষের সেক্স অঙ্গ

প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে যত্‍সামান্য জানতে

পারলাম। জানতে পারলাম পুরুষাঙ্গের

মত প্রধান কয়েকটি যৌন অর্গাজমের

কার্যকলাপ। এখন আমরা অনুরূপভাবে

নারী দেহ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা

করবো। বুঝতে চেষ্টা করবো ফুলের মত

কোমল চাঁদের মত সুন্দর নারীদের সেক্স

অঙ্গ গুলোর কার্যকলাপ। পুরুষ আর নারী

একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। একজনকে বাদ

দিয়ে অন্যজনের সেক্স কোনোভাবেই

ভাবা যায় না। নারী আর পুরুষের যৌথ

অংশগ্রহণ ও মিলনেই পরিপূর্ণতা লাভ

যৌন জীবনে। আর তার ফলেই রচিত হয়

একটি সুখময়-তৃপ্তিময়-ভালোবাসাময়

সুখী দাম্পত্য জীবন।

নারীর যৌনতা বা সেক্স

নারী সে তো সারা দেহে যৌন চেতনায়

পরিপূর্ণ। যে কোনো ভালো সেক্স

বিজ্ঞান বই ঘাঁটলেই বোঝা যাবে যে,

নারী দেহের মাথার চুল থেকে শুরু করে

পায়ের নখ পর্যন্ত লুকিয়ে রয়েছে

সেক্স। লুকিয়ে রয়েছে যৌন উন্মাদনা।

এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য কথা যে,

প্রায় প্রতিটি নারী তার নিজের সুন্দর

আকর্ষণীয় দেহ সম্পর্কে খুব সামান্যই

জানে। তবে সময়ের পরিবর্তন জীবন

ধারার পরিবর্তনে নারীদেরমন-

মানসিকতায় যে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে

করে ইদানীংকালে অনেক নারী তাদের

যৌনতায় ভরপুর, নাজুক শরীর, বিচিত্র

যৌন জীবন ও সেক্স স্বাস্থ্য সম্পর্কে

দারুণ আগ্রহ পোষণ করছে এবং তারা

নিজেরদেহ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা

করছে হচ্ছে সচেতন। একটু পেছনে ফিরে

তাকালে দেখা যাবে যে নারীর

সেক্সের ব্যাপারে আলোচনা বিংশ

শতাব্দির শুরুতেও তেমন একটা সাপোর্ট

পায়নি। বরঞ্চ একে তখন দেখা হত

অশ্লীলতার দৃষ্টিভঙ্গিতে। নারী

যৌনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে আলোচনা

ছিল অনেকের কাছে যৌন সুড়সুড়ি

পাবার উপায় হিসেবে। তবে দিন

পাল্টেছে, হয়েছে সবাই সচেতন। এখন

কিন্তু কি পুরুষ কি নারী কমবেশি সবাই

সেক্স স্বাস্থ্য, সেক্স বিজ্ঞান

সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই এটি

একটি আশাপ্রদ ও সুখের বিষয়। নারীর

যৌন হেল্থ সম্পর্কে জানতে হলে

প্রথমেই নারীর সেক্স অঙ্গের নানাদিক

সম্ব েজানতে হবে কিন্তিু এটি হওয়া

উচিত অবশ্যই বিজ্ঞান সমমত-

পরিশিলিত এবং যুক্তি নির্ভর। নারীর

দেহের বাইরে এবং ভেতরে দুদিকেই

যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো অবস্থিত। যখন

একজন পুরুষের যৌন উত্তেজনা বা সেক্স

বাইরে থেকে সহজেই টের পাওয়া যায়

ঠিক তখন একজন নারীর যৌন অনভূতি

এবং যৌন উত্তেজনা বা সেক্সের

কোনো । আর এটা বোঝা ততটা সহজ

সাধ্যও হয় না।

বিজ্ঞান সম্পর্কিত তিনটি বিষয় একজন

নারীকে পুরুষের চেয়ে আলাদা করেছে

যা তিনটি উদাহরণ দিয়েই বোঝা সম্ভব

হবে। এইতিনটি বিষয় হল-

*. নারীর শরীরে ঢ যৌন ক্রোমোজম

থাকে। যা তার জেনেটিক পার্থক্য

নির্ধারণ করে।

*. নারীর বহিঃযৌনাঙ্গ যারদ্বারা

বোঝা যায় যে সে একজন নারী।

*. নারীর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ বা

ইন্টারনাল সেক্স অর্গান-যা পুরোপুরি

পুরুষের চেয়ে ভিন্ন। এভাবেও পুরুষ

থেকে নারী সম্পূর্ণরূপে আলাদা।

নারীর যৌনাঙ্গ দু'প্রকার। একটি হল

বহিঃযৌনাঙ্গ বা এক্সটারনাল সেক্স

অর্গানএবং অপরটি হল আভ্যন্তরীণ

যৌনাঙ্গ বা ইন্টারনাল সেক্স অর্গান।

পুরুষের যৌনাঙ্গের সমস্ত অংশটাই

বাইরে প্রকাশ পায়। আর নারীর কিন্তু

সবটা না হলেও কিছু অংশের

বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তবে নারীর

যৌনাঙ্গের বাইরের চেয়ে ভেতরের

অংশটাই প্রধান এবং জটিল। আর

সেক্সের প্রায় সব ব্যাপারেই ভেতরের

যৌনাঙ্গগুলো রতিক্রিয়া, গর্ভধারণ

এবং নারীর নারীত্ব রক্ষার বেশির ভাগ

কাজ গুলো সম্পন্ন করে থাকে। নারীর

যখন যৌন উত্তেজনা বা সেক্স জাগে

তখন শুরুতেই বহিঃযৌনাঙ্গ থেকে তা

আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ পর্যন্ত এক

অভাবনীয় বিস্ময়কর মনোমুগ্ধ কর।

তথ্য 

  আরো দেখুন :-    প্রেমিক প্রেমিকা আবাসিক হোটেলে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলে ,কি ধরণের শাস্তি হতে পারে দেখুন এবং জানুন 

No comments

Powered by Blogger.