স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করলে কোন ক্ষতি নেই অথচ হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে এত আপত্তি কেন?
আপনি বলেন তো কেউ কি আছে যে হস্তমৈথুন করে না? এসব প্রশ্ন আমরা এড়িয়ে যাই কারন এগুলো আমাদের বিব্রত করে কিন্তু এটা কখনো হওয়া উচিত না।
হাত দিয়ে পুরুষাংগ উপর নিচ করে বীর্য নির্গত করা প্রস্রাব পায়খানা করার মতোই স্বাভাবিক একটি প্রাকৃতিক ক্রিয়া।
অনেকে হস্তমৈথুনের বিরোধী এবং নানা আজগুবি কথা বলে। এটা করলে নাকি অমুক ক্ষতি হয়, তমুক ক্ষতি হয়। হাবি জাবি অনেক কিছু মনগড়া কথা বলে কিন্তু সে নিজে বাথরুমে গিয়ে হস্তমৈথুন করে। অনেকে গোসলের সময় করে। অনেকে যখন বেশি উত্তেজিত হয়ে যায় তখন বাথরুমে বা গোপন জায়গায় গিয়ে হাত দিয়ে নিজের লিংগ ধরে উঠা নামা করিয়ে বীর্যপাত করেন।
নারীর যেমন মাসিকের সময় সাদা স্রাব বের হয়। এটা একটা স্বাভাবিক ক্রিয়া। পুরুষের তেমন নিয়মিত সাদা বীর্য বের হয়। নিজে হাত দিয়ে বের না করলে ঘুমের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। মাসিক নিয়মিত না হওয়া যেমন ক্ষতি তেমনি বীর্য নিয়মিত নির্গত না হওয়াও ক্ষতিকর। বীর্য জমিয়ে রাখলে বিচি দুটো ফুলে থাকবে। টন টন করবে। এই অবস্থায় হস্তমৈথুন না করলে নিজের জীবন বিপন্নও হতে পারে। হয় ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত, না হয় নিজের হাত দিয়ে বীর্যপাত এসব করে পুরনো বীর্য শরীর থেকে বের না হলে নতুন বীর্য ধারন এসে পুরনো বীর্য রিপ্লেস করতে বাধা যাবে।
পুরুষের অন্ডকোষের দুটি বিচিতে প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ শুক্রানু উতপন্ন হয়। এখন যদি আপনি নিজে বীর্য বের না করেন তবে ঘুমের মধ্যে বের হবে। প্যান্ট, লুংগি নষ্ট হবে। যদি ঘুমের মধ্যে না হয় তবে অন্ডকোষের ব্যাথায় হাটতে চলতে পারবেন না।
একটা প্রাকৃতিক ক্রিয়াকে খারাপ আখ্যা দেয়া অত্যন্ত নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। নিজের মধ্যে সংকোচবোধ না রেখে নিয়মিত হস্তমৈথুন করুন তবে সেটা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করলেই ভালো। কেউ কেউ দিনে দুই তিনবার করেন। প্রশ্রাব করার টাইমে অনেকে হাত দিয়ে বীর্যপাত করেন। এভাবে ঘন ঘন করলে শরীরে সাময়িক দূর্বলতা আসতে পারে। তখন ডিম, দুধ খেলে আবার শক্তি ফিরে আসে। যাদের পুষ্টিঘাটতি পূরনের জন্য নিয়মিত দুধ, ডিমের যোগান নেই তারা সপ্তাহে দুই তিনবারের বেশি না করাই ভালো। করলেও সেটা আবার নতুন বীর্য দিয়ে পূরন হয়ে যায় কিছুক্ষনের মধ্যেই।
যদি সন্তান নিতে চান তবে দুই তিন দিন হস্তমৈথুন না করে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্য ঘন থাকে। ঘন বীর্যে শুক্রানু বেশি থাকে। তখন বাচ্চা হওয়ার চান্স ভালো থাকে। তাই শুধু বাচ্চা নেয়ার সময় হস্তমৈথুনে কিছুটা বিরতি দেয়া হলে ভালো। এছাড়া ঘন ঘন হস্তমৈথুনে কোনো সমস্যা নেই। কারন সারা জীবন বীর্য হতেই থাকে। শুক্রানু হতেই থাকে। কখনো বন্ধ হয় না। মেয়েদের মাসিক একসময় বন্ধ হয় কিন্তু পুরুষের বীর্যপাত বন্ধ হয় না।
তাই মিজানুর রহমান আযহারীও যদি বলে হস্তমৈথুন করা যাবে না তবুও সেই কথার কোনো ভিত্তি নেই কারন সে নিজেও হস্তমৈথুন করে। বউ কাছে থাকলেও করে। দূরে থাকলে আরো বেশি করে।
তাই এই ব্যাপারে কখনো হীনমন্যতায় ভুগবেন না। এটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ক্রিয়া।
স্ত্রীর সাথে সেক্স করবেন, এইটাই নিয়ম সর্বসাধারণ তাই জানে, বৈধতা দেওয়া আছে।
=আপনি কোন টেনশন নিবেন না সেক্স নিয়ে।
আপনি অন্যের বউ বা স্ত্রী নয় এমন মেয়েদের সাথে সেক্স করবেন, সারাক্ষণ চিন্তায় থাকবেন কখন কি হয়ে যায়, কখন কে পল্টি নেয়, কখন ফাস হয়ে যায়, কখন বাচ্চা হয়ে যায়, কখন কেউ দেখে ফেলে জেনে যায়, জেনে গেলে সমাজে কেমনে চলবেন মানসম্মান এর অবস্থা, নিজের ও পরিবারের বন্ধুদের ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি, মাথায় থাকেই আমি অবৈধ কাজ করতে ছি, ফলাফল খারাপ অবৈধ কাজের দুনিয়া ও পরকালের।
আর সে চিন্তা থেকেই স্ত্রী সেক্স করার মতো মানুষিকতায় অবৈধ নারী সেক্স করা বা হস্তমৈথুন করে না। এবং সময় পজিশন ইত্যাদি তে দারুন পরিবর্তন থাকে। সব মিলিয়ে এতো আপত্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে।
হুম অবশ্যই তাই। কারণ বিয়ের জন্য ক্ষমতার প্রয়োজন হয়, আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক। প্রতিটা মানুষের একটা প্রাকৃতিক চাহিদা থাকে। আর যদি আপনি সেই চাহিদা পূরণে অক্ষম হন তাহলে বিবাহের পর আপনার স্ত্রীর চাহিদা কীভাবে মিটবে? তখন আপনার স্ত্রী, অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে অথবা আপনাকে ডিভোর্স দেবে।
আর যদি সে এই দুটো পথ বেছে নাও নেয়, অর্থাত যদি ভালো থেকেও ডিভোর্স না দেয় তাহলে, শারীরিক সম্পর্ক না হবার দরুণ, আপনাদের মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকবে। অর্থাত মানসিক শান্তি চলে যাবে। এমন অনেক ঘটনায় তার সাক্ষী রয়েছে।
No comments